পুত্র আর পুত্রবধুদের আর বোঝা হয়ে রইলেন না জবেদা খাতুন। হাসপাতালের বেড থেকেই বিদায় নিলেন চিরতরে। এ বৃদ্ধার ‘বোঝা’ যেন আর বইতে পারছিলেন না তার ছেলেরা ও তাদের স্ত্রীরা। তাই রাতের আঁধারে তাকে ফেলে গিয়েছিলেন রাস্তায়।রাতের আঁধারে নিজ সন্তানরা তাকে রাস্তায় ফেলে গেলেও দুই শিক্ষার্থীর মানবিক দৃষ্টিতে পড়েন তিনি। তাকে উদ্ধার করে ঠাঁই দেয়া হয় হাসপাতালের বিছানায়।
সেখানে জীবন-যন্ত্রণায় কাঁতরিয়ে অবশেষে ১৪ দিন পর সোমবার রাত সোয়া ৮টার দিকে না ফেরার দেশে চলে গেলেন জবেদা খাতুন।জানা গেছে, গত ৩১ অক্টোবর রাতে তার সন্তানরা মাদারীপুর শহরের শকুনী লেকের উত্তরপাড়ে রাস্তায় ফেলে রেখে যান। পরদিন সকালে সরকারি নাজিম উদ্দিন কলেজের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী বিলাস হালদার ও মেহেদী ইসলাম হাঁটার সময় বৃদ্ধাকে পড়ে থাকতে দেখে এগিয়ে যান।
গিয়ে দেখেন হাতে-মাথায় রক্তাক্ত অবস্থায় তিনি পড়ে আছেন। তাৎক্ষণিকভাবে তারা বৃদ্ধাকে উদ্ধার করে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে যান।ওই বৃদ্ধা প্রথম দিন নিজের নাম আর সন্তান-বউ মিলে ফেলে রেখে যাওয়ার কথাটুকুই শুধু বলতে পেরেছিলেন। স্বামীর নাম অজয় মল্লিক, ছেলেদের নাম আলমগীর ও সোবাহান বলেছিলেন।
তারপর থেকে তিনি আর কথা বলতে পারছিলেন না। কিছুটা স্মৃতিশক্তি হারানো জবেদা এরপর অপেক্ষা করতে থাকেন মৃত্যুর।মাদারীপুর সিভিল সার্জন ডা: ফরিদ উদ্দিন মিঞা বলেন, হাসপাতালে ভর্তির পর থেকে আমাদের তত্ত্বাবধানে ছিলেন। শারীরিক অবস্থা আগের চেয়ে কিছুটা ভালো হলেও শুক্রবার সকাল থেকে অবনতি হয়। সোমবার রাত সোয়া ৮টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
Taxi moto line
128 Rue la Boétie
75008 Paris
+33 6 51 612 712
Taxi moto paris
Thanks very interesting blog!