স্টাফ রিপোর্টারঃ অশোক মন্ডল :
বিশ্বের বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ। সুন্দরবন শুধু প্রকৃতির আশীর্বাদ। উপকূলীয় মানুষের জন্য যেন এক অবিচ্ছেদ্য নিরাপত্তার ঢাল। সে কারণে বিশ্ব ভালোবাসা দিবসের পাশাপাশি। ১৪ ই ফেব্রুয়ারি পালন করা হয় সুন্দরবন দিবস হিসাবে।২০০১ সালের ১৪ই ফেব্রুয়ারি খুলনার আয়োজিত সুন্দরবন সম্মেলনের প্রথম বারের মতো এই দিবসটি পালনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ৭০টি পরিবেশবাদী সংগঠনের অংশগ্রহণে সুন্দরবন সংরক্ষণের প্রয়োজনীয়তার উপর গুরুত্ব দেওয়া হয়। এরপর থেকে দুই দশকের ও বেশি সময় ধরে উপকূলীয় অঞ্চলে দিবসটি উদযাপিত হয়ে আসছে। সুন্দরবন শুধু একটি বন নয় এটি উপকূলীয় মানুষের জীবনের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে।প্রাকৃতিক দুর্যোগ বিশেষ করে ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাস থেকে উপকূলীয় অঞ্চলকে রক্ষা করে। লবণাক্ত নিয়ন্ত্রণ করে কৃষি জমি মিঠাপানির উৎসব সংরক্ষণের সহায়তা করে। জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। মৎস্য ও মৌচাষের মাধ্যমে হাজারো মানুষের জীবিকার যোগান দেয়। সুন্দরবন দিবস উপলক্ষে খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট সহ উপকূলীয় বিভিন্ন অঞ্চলে নানা কর্মসূচি পালন করা হয়। পরিবেশবাদী সংগঠনগুলো র্যালি। আলোচনা সভা সচেতন মূলক প্রচার সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করে সুন্দরবন রক্ষার আহ্বান জানায়। সুন্দরবন ও উপকূল সুরক্ষা ফাউন্ডেশন সহ বিভিন্ন সংগঠন সরকারি বেসরকারি উদ্যোগে জোরদারের দাবি জানিয়ে আসছে যাতে করে অমূল্য সম্পদ ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য সংরক্ষিত থাকে। সুন্দরবন আজ নানা সংকটের মুখে পড়েছে। অবৈধ বন উজাড়। শিল্প কারখানার দূষণ, অপরিকল্পিত উন্নয়ন জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে এর অস্তিত্ব হুমকির মুখে পড়েছে।এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সরকারও সাধারণ জনগণের সম্মিলিত উদ্যোগ প্রয়োজন । সুন্দরবন রক্ষা মানেই উপকূলের নিরাপত্তা সুন্দরবন দিবস শুধু উদযাপনের জন্য নয়, এটি সুন্দরবন সংরক্ষণ ও সুরক্ষার অঙ্গীকারের দিন। আমাদের সকলের দায়িত্ব এই অনন্য প্রাকৃতিক সম্পদ কে রক্ষা করা যাতে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম ও সুন্দরবনের আশীর্বাদ ভোগ করতে পারে। সুন্দরবন আমাদের মায়ের মতন। যেমন সন্তানকে মা বুকে আগলে রাখে। তেমনি করে সুন্দরবন রক্ষা করা আমাদের দায়িত্ব এই অঙ্গীকার বদ্ধ হতে হবে।